Replacement Umrah Service
আপনে কি বদলি ওমরাহ হজ করাতে চান। আপনার বাবা মা ভাই বোন বা অন্য কারো জন্যে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন. আমরা এই সেবা টি দিয়ে থাকি।
এই সেবা টি পেতে হলে আপনার কিছু টাকা লাগবে যা 200 রিয়াল সোম পরিমাণ।
আমাদের সাথে যোগাযোগ
WhatsApp:+966590933616
Email: subishaldot@gmail.com
বদলি ওমরাহ ও হজ ইসলামী শরীয়তের একটি বিধান, যেখানে একজন ব্যক্তি অন্যের পক্ষ থেকে ওমরাহ বা হজ সম্পাদন করেন। এটি সাধারণত তখন করা হয়, যখন কেউ শারীরিকভাবে অক্ষম বা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং নিজের পক্ষ থেকে হজ বা ওমরাহ আদায় করতে পারেন না।
বদলি ওমরাহ ও হজের প্রয়োজনীয়তা ও কারণ:
-
শারীরিক অক্ষমতা:
কেউ যদি বার্ধক্য, অসুস্থতা বা শারীরিক অক্ষমতার কারণে হজ বা ওমরাহ করতে না পারেন, তবে অন্য একজন তার পক্ষে এটি করতে পারেন। -
মৃত্যুবরণ:
কেউ যদি হজ ফরজ হওয়ার পরও তা আদায় করার সুযোগ না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেন, তার পক্ষে বদলি হজ বা ওমরাহ আদায় করা হয়। -
স্থায়ী অসুস্থতা:
যদি কেউ স্থায়ীভাবে শারীরিকভাবে অক্ষম হন এবং ভবিষ্যতেও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।
বদলি ওমরাহ ও হজের নিয়ম:
১. যার পক্ষে বদলি ওমরাহ বা হজ করা হবে:
-
যার পক্ষে বদলি ওমরাহ বা হজ করা হচ্ছে, তার জন্য হজ বা ওমরাহ ফরজ হতে হবে।
অর্থাৎ জীবিত থাকাকালীন তার সামর্থ্য ছিল, কিন্তু কোনো কারণে আদায় করতে পারেননি। -
যদি তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তবে তার সম্পদ থেকে বদলি হজ বা ওমরাহর ব্যবস্থা করতে হবে।
২. বদলি ওমরাহ বা হজকারীর শর্ত:
- বদলি ওমরাহ বা হজকারীকে মুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বিবেকবান হতে হবে।
- তিনি অবশ্যই নিজের জন্য ওমরাহ বা হজ সম্পন্ন করেছেন (যদি এটি তার জন্য ফরজ হয়ে থাকে)।
- হজ ও ওমরাহর নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
৩. নিয়ত করা:
বদলি ওমরাহ বা হজ করার সময় অবশ্যই নিয়ত করতে হবে যে এটি অমুক ব্যক্তির পক্ষ থেকে সম্পাদিত হচ্ছে।
নিয়ত উদাহরণ:
"আমি অমুক ব্যক্তির (যার পক্ষে করা হচ্ছে) পক্ষ থেকে ওমরাহ/হজের নিয়ত করছি।"
৪. ইহরাম বাঁধা ও রোকন আদায়:
-
বদলি হজ বা ওমরাহর সময় ইহরাম বাঁধা থেকে শুরু করে প্রতিটি রোকন যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
-
ওমরাহর জন্য:
- ইহরাম থেকে শুরু করা।
- তাওয়াফ (কাবা শরিফ প্রদক্ষিণ)।
- সাঈ (সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়ানো)।
- মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছাঁটা।
-
হজের জন্য:
- আরাফাতে অবস্থান।
- মুজদালিফায় রাত যাপন।
- জামারাতে পাথর নিক্ষেপ।
- কুরবানি এবং তাওয়াফ-ই-জিয়ারত।
৫. খরচ:
- বদলি হজ বা ওমরাহর খরচ অবশ্যই যার পক্ষে আদায় করা হচ্ছে তার সম্পদ থেকে হওয়া উচিত।
- যদি কেউ স্বেচ্ছায় নিজের অর্থায়নে এটি করতে চান, সেটি নফল ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।
কোরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে বদলি ওমরাহ ও হজ:
-
কোরআন:
“মানুষের ওপর আল্লাহর এই অধিকার রয়েছে যে, যার সামর্থ্য আছে, সে যেন বাইতুল্লাহর হজ পালন করে।”
(সূরা আলে ইমরান: ৯৭) -
হাদিস:
এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন:“আমার মা বৃদ্ধা এবং হজ করতে অক্ষম। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ করতে পারি?”
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“হ্যাঁ, তুমি তার পক্ষ থেকে হজ করো।”
(সহিহ বুখারি: ১৫১৩, সহিহ মুসলিম: ১৩৩৪)
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- বদলি ওমরাহ ও হজ করার আগে অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- হজ ও ওমরাহর সব কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
- এটি শুধুমাত্র ফরজ ওমরাহ ও হজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; নফল ইবাদতের জন্য নয়।
আশা করি তথ্যগুলো আপনার জন্য উপকারী হয়েছে। যদি আরও জানতে চান, তাহলে জানাতে পারেন।
ওমরা হজ্জ
ওমরা হজ্জ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় রীতি, যা মক্কা নগরীতে পালন করা হয়। এটি হজ্জের তুলনায় ছোট একটি ইবাদত, তবে এর মধ্যে ইসলামের বিভিন্ন মূল আচার ও রীতি রয়েছে। ওমরা পালনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও ধাপ রয়েছে, যেগুলি নিচে বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হলো:
১. ইহরাম বাঁধা:
ওমরা পালনের প্রথম ধাপ হলো ইহরাম বাঁধা।
- ইহরাম হচ্ছে বিশেষ ধরনের পবিত্র পোশাক যা পুরুষরা সাদা দুই টুকরা কাপড় দিয়ে বাঁধে (একটি ওপরের অংশে এবং একটি নীচে) এবং মহিলারা সাধারণত সাদাসিধে পোশাক পরেন, যা শরীরের পুরো অংশ ঢেকে রাখে।
- ইহরাম বাঁধার পর পবিত্রতা অর্জিত হয় এবং এরপর কোনো অশ্লীল কাজ বা অন্য নিষিদ্ধ কাজ করা যাবে না।
- নিয়ত করতে হবে, অর্থাৎ ওমরা পালনের উদ্দেশ্য উপলব্ধি করে পবিত্র উদ্দেশ্যে এ যাত্রা শুরু করতে হবে।
২. তাওয়াফ (বাইতুল্লাহর চারপাশে ঘূর্ণন):
ওমরা পালনের পরবর্তী ধাপ হলো তাওয়াফ।
- মক্কায় হাজির হওয়ার পর কাবা শরীফের চারপাশে সাত বার তাওয়াফ করতে হয়।
- তাওয়াফ করার সময়, কাবার দিকে মুখ করে হাঁটতে হবে এবং প্রতিটি গমনপথের শেষে কাবার দিকে ফিরে আসতে হবে।
- তাওয়াফের প্রতিটি চক্কর পূর্ণ করতে হবে। তাওয়াফ করার সময় আল্লাহর প্রতি দোয়া এবং স্মরণ করতে হবে।
৩. সাঈ (সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়ানো):
তাওয়াফের পরে সাঈ করতে হবে।
- সাঈ হচ্ছে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাত বার দৌড়ানো বা হাঁটা।
- এটি দুই পাহাড়ের মধ্যে প্রতি বার চলার পর একবার হয়ে গণনা হবে (সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত এক গমনপথ এবং মারওয়া থেকে সাফা পর্যন্ত আরেকটি পথ)।
- প্রথমে সাফা পাহাড়ে উঠতে হবে এবং সেখান থেকে আল্লাহর প্রতি দোয়া করতে হবে, তারপর মারওয়া পাহাড়ে যেতে হবে, এভাবে সাতবার যেতে হবে।
৪. হালাক বা কছর (চুল কাটা):
ওমরা পালনের শেষ ধাপ হলো হালাক বা কছর (চুল কাটা)।
- পুরুষরা তাদের পুরো মাথার চুল কেটে ফেলবে বা কিছুটা ছোট করবে।
- মহিলারা তাদের চুলের এক বা দুই ইঞ্চি কাটবেন (প্রয়োজন অনুযায়ী)।
- এটি ওমরা সম্পন্ন করার একটি চিহ্ন হিসেবে গণ্য হয়।
৫. ওমরা সম্পন্ন:
এটি সবশেষ ধাপ, যেখানে আপনি আপনার ওমরা সম্পন্ন করেছেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রার দিকে ফিরে যেতে পারেন।
অতিরিক্ত বিষয়:
- নিয়ত: ওমরা পালনের প্রতিটি ধাপে অবশ্যই নিয়ত করতে হবে এবং নির্দিষ্ট নিয়ত করে তা পালন করা উচিত।
- আল্লাহর যিকির ও দোয়া: প্রতিটি ধাপে আল্লাহর স্মরণ ও দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ইহরাম অবস্থায় কিছু নিষেধাজ্ঞা: ইহরাম অবস্থায় কিছু নিষিদ্ধ কাজ রয়েছে, যেমন: মধু খাওয়া, সিগারেট খাওয়া, রক্তপাত ঘটানো, যৌন সম্পর্ক, কাবা বা মসজিদে হাসি-তামাশা করা ইত্যাদি।
এভাবে, ওমরা একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় ইবাদত যা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সম্পাদিত হয়।
মুহরিম ব্যক্তি যে সকল কাপড় পড়বে না ?
মুহরিম হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি হজ্জ বা ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে ইহরাম (পবিত্র অবস্থায়) প্রবেশ করেছেন। ইহরাম অবস্থায় কিছু নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আছে, যার মধ্যে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট কাপড় পরিধান করা। মুহরিম অবস্থায়, বিশেষভাবে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পোশাক নিষিদ্ধ।
মুহরিম অবস্থায় যা পরা যাবে না:
-
পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ কাপড়:
- সেলাই করা কাপড়: পুরুষরা সেলাই করা কাপড় পরতে পারবেন না। এর মধ্যে সেলাই করা শার্ট, প্যান্ট, স্যুট, এবং অন্যান্য সেলাই করা পোশাক অন্তর্ভুক্ত।
- তবে, পুরুষদের জন্য ইহরাম বাঁধার জন্য সাদা, সেলাইবিহীন দুটি কাপড় (একটি উপরের এবং একটি নীচে) পরিধান করতে হয়।
- পুরুষরা সেলাই করা পোশাক পরলে, তা ইহরাম ভঙ্গের মতো গণ্য হয় এবং কাফফারা (অধিক রোজা বা গরু কুরবানির মতো) দিতে হতে পারে।
- হেডগিয়ার: পুরুষরা টুপি, মাথার কাপড় বা হ্যাট পরতে পারবেন না, কারণ এটি সেলাই করা পোশাকের অন্তর্ভুক্ত।
- তবে, ইহরাম অবস্থায় মাথায় তাওয়াব বা মাথার কাপড়ের মতো সাধারণ কাপড় রাখতে পারেন।
- অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢাকার জন্য সেলাই করা কাপড়**: পুরুষদের শরীরের কোনো অংশ ঢাকার জন্য সেলাই করা কাপড় (যেমন শার্ট, প্যান্ট, সোয়েটার) পরা নিষিদ্ধ।
- সেলাই করা কাপড়: পুরুষরা সেলাই করা কাপড় পরতে পারবেন না। এর মধ্যে সেলাই করা শার্ট, প্যান্ট, স্যুট, এবং অন্যান্য সেলাই করা পোশাক অন্তর্ভুক্ত।
-
মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ কাপড়:
- মহিলাদের জন্য সেলাই করা পোশাক: মহিলাদের জন্যও সেলাই করা পোশাক পরা নিষিদ্ধ, তবে মহিলারা সাধারণ শাল বা কাপড় পরতে পারেন, যা সেলাইবিহীন হয় এবং শরীরের পুরো অংশ ঢাকা থাকে।
- মাথার কাপড় বা হিজাব: মহিলাদের জন্য মাথার কাপড় বা হিজাব পরা নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু তারা মুখে মাক্স বা পর্দা পরতে পারবেন না (ইহরাম অবস্থায় মুখ বা হাত ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ)।
- মোহরিম অবস্থায় সৌন্দর্য বা সাজসজ্জা: মহিলাদের জন্য সাজসজ্জা যেমন গহনা পরিধান, মেকআপ করা, বা সুগন্ধী ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা:
- সৌন্দর্য ও সাজার উপকরণ: মুহরিম অবস্থায় পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য সুগন্ধী ব্যবহার (মসলিন, পারফিউম) নিষিদ্ধ। তবে, খোলামেলা সুগন্ধী বা মিষ্টি কিছু বস্তু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যৌন সম্পর্ক: ইহরাম অবস্থায় যৌন সম্পর্ক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
- শিকার বা শিকার করার উপকরণ: ইহরাম অবস্থায় পশু শিকার করা নিষিদ্ধ, এমনকি শিকারের জন্য কোনো প্রকার উপকরণ বা অস্ত্র বহন করা যাবে না।
- তর্ক-বিতর্ক ও অশালীন আচরণ: তর্ক করা বা অশালীন কথা বলা ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ।
উপসংহার:
মুহরিম অবস্থায়, ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক পরিধান করতে হয়, যা সেলাইবিহীন এবং সাদাসিধে হয়। মহিলারা তাদের পুরো শরীর ঢাকা রাখবেন, তবে মাথার কাপড় (হিজাব) পরতে পারবেন, তবে মুখ বা হাত ঢাকা যাবে না। পুরুষরা সেলাইবিহীন দুটি কাপড় পরবেন এবং মাথায় কোনো ধরনের কাপড় পরবেন না। এই সব বিধি-কানুন ইসলামিক বিধান অনুসরণ করে, যাতে হজ্জ বা ওমরা পালনে একাধিক আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক দিক থেকে পবিত্রতা বজায় থাকে।